বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে রাজধানীজুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরইমধ্যে রাজনৈতিক আন্দোলন, আন্তর্জাতিক সংহতি ও মুক্তির বার্তা মিলিয়ে ব্যতিক্রমীভাবে আলো ছড়াচ্ছে একাধিক আয়োজন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী লাখো জনতার সমাবেশ। একইসঙ্গে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং সরকার পতনের দাবিতে নানা স্লোগানে মুখর রাজধানী। এসব বিষয় মিলিয়ে একাধিক প্রতিকৃতি ও বার্তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সংসদ ভবন এলাকা ঘিরে আয়োজিত ড্রোন ও লেজার শোতে।
এ আয়োজনে উঠে এসেছে জুলাই আন্দোলনের চিত্র, দেখা গেছে পানির বোতল হাতে মুগ্ধ, অদম্য আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবাদী ভঙ্গি, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি জানানো চিত্র এবং মুক্ত পায়রা—যা প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাধীনতা ও মানবতার।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুধু বৈশাখী উৎসব নয়, তুলে ধরা হয়েছে সময়ের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক ও মানবিক বার্তা।
এছাড়া, বাংলা নববর্ষের মূলদিনে অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশেষ ড্রোন শো ও লাইভ মিউজিকের অনুষ্ঠান। এই আয়োজন করছে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস।
প্রযুক্তি, সংগীত আর বার্তার সংমিশ্রণে এ বছরের বর্ষবরণ হয়ে উঠছে আরও বর্ণাঢ্য ও অর্থবহ।